সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ প্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত। ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ু ও আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে স্থানভেদে এদেশে প্রতি বছর বন্যা (নদীবাহিত/ বৃষ্টিপাত জনিত), নদীভাঙ্গন, ঘূর্ণিঝড়, খরা, ভূমিকম্প, ঘন কুয়াশার মত বিভিন্ন ধরনের আপদ আঘাত হানে। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় প্রায় প্রতিবছর এলাকা ভিত্তিক নদী ভাঙ্গনের শিকার বহু লোক ভিটে মাটি ছাড়া হয়ে নি:স্ব হয় এবং নদী-খাল ভরাট জনিত কারণে এলাকা ভিত্তিক অধিবাসীদের সংশ্লিষ্ট নানা ধরণের আপদের সম্মুখীন হতে হয় । এ সমস্ত আপদের প্রভাবে সহায় সম্পদ সহ জান-মাল, প্রানিসম্পদ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এর ফলে শুধু আক্রান্ত জনগোষ্ঠিই ক্ষতিগ্রস্থ হয় না জাতীয় সম্পদ এবং অর্থনীতিতেও ব্যাপকভাবে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
দুর্যোগ প্রবণ দেশ হলেও পূর্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার মাধ্যমে মানুষের সহায় সম্পদসহ জান-মাল, প্রানী সম্পদ ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর সুদূর প্রসারী কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ব্যতিরেকে শুধুমাত্র ত্রাণ ও পূনর্বাসনকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার UNDP সহ বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠির আর্থিক সহায়তায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরীর মাধ্যমে এক যুগান্তরকারী কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এই কর্মসূচীর আওতায় প্রাথমিকভাবে সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণ ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়ে স্থানীয় ঝুঁকি চিহ্নিত করে তা পর্যালোচনার মাধ্যমে কম-পরিকল্পনা প্রনয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঝুঁকি নিরসন কম-পরিকল্পনায় স্থানীয় আপদসমূহ চিহ্নিত করে ঝুঁকি নিরসনের জন্য প্রতি উপজেলা পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস